Guide for authors

লেখকদের জন্য জ্ঞাতব্য

ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকায় লেখা পাঠানোর নিয়মাবলি

১. শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, দর্শন, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিষয়ে লিখিত যে কোনো মৌলিক প্রবন্ধ, যা অন্য কোনো গবেষণা পত্রিকায় প্রেরিত হয়নি বা ইতোমধ্যে ছাপার জন্য মনোনীত হয়নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকায় প্রকাশের জন্য বিবেচনা করা হয়।
২. সম্পাদকের নিকট প্রেরিত প্রবন্ধ দুইজন বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নকারী কর্তৃক মূল্যায়নের পর এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকে।
৩. গবেষণা প্রবন্ধের ২ কপি সম্পাদকের নিকট সরাসরি বা ইমেইল যোগে প্রেরণ করতে হবে।
৪. প্রেরিত প্রবন্ধের প্রথম পৃষ্ঠায় শুধু প্রবন্ধের শিরোনাম, লেখকের নাম, প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি/পদবি লিপিবদ্ধ থাকবে। মূল প্রবন্ধ শিরোনামসহ ২য় পৃষ্ঠা থেকে শুরু করতে হবে। ২য় পৃষ্ঠায় লেখকের কোনো নাম থাকবে না।
৫. প্রবন্ধের মূল পাঠ A4 কাগজে ১২ পয়েন্ট বাংলা ‘সুতন্বীএমজে’ অথবা ‘সুতন্বীওএমজে’ ফন্টে ২ লাইনের মাঝখানে ১.৫ ফাঁক রেখে দুই দিকে সমতা (justified) বিধান করে পাঠাতে হবে। কাগজের উপরে ও নিচে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা খালি রাখতে হবে।
৬. মূল পাঠে সংগতি রেখে যথাসম্ভব অধ্যায় (chapter) ও উপ-অধ্যায়ে (sub-chapter) ভাগ করা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে অধ্যায় ও উপ-অধ্যায়কে শিরোনামসহ যথাক্রমে ১ ও ১.১, ১.১.১ ইত্যাদিতে বিন্যস্ত করা যেতে পারে।
৭. মূল পাঠে সারণি (table) ও চিত্রাদি থাকলে সেগুলির পর্যায়ক্রমিক সংখ্যা যেমন : ১, ২, ৩ ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। প্রত্যেক চিত্রের একটি যথাযথ আখ্যাও (caption) দিতে হবে।
৮. প্রবন্ধের শুরুতে অনধিক ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ থাকতে হবে।
৯. প্রবন্ধে বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসরণ করা বাঞ্ছনীয়। তবে উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে মূল বানান অপরিবর্তিত থাকবে।

খ. টীকা, উদ্ধৃতি ও সূত্র ব্যবহারের নিয়মাবলি

১. মূল পাঠে কোনো বিষয় সম্পর্কে অতিরিক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করতে চাইলে অথবা নতুন কোনো অভিধা (term) সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করতে হলে তা মূল পাঠের অতিরিক্ত ‘অন্ত্য-টীকায়’ (end-note) উপস্থাপন করতে হবে। এ ধরনের টীকা প্রদানের ক্ষেত্রে মূল পাঠের উদ্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা বক্তব্যে অধিসংখ্যা (superscript) যথা : ১, ২ ইত্যাদি প্রদানপূর্বক মূল পাঠের শেষে ‘অন্ত্য-টীকায়’ (end-note) সংখ্যা উল্লেখসহ এগুলোর যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে।

২. উদ্ধৃতি ও সূত্র

ক. প্রবন্ধের মূল পাঠে অন্য কোনো লেখকের সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি থাকলে তা একই অনুচ্ছেদে উদ্ধৃতি চিহ্ন ( “ ” ) ও পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখপূর্বক উদ্ধৃতি-সূত্রসহ [“…..” (লে.নাম, প্র.সাল, পৃ.)] উল্লেখ করতে হবে। তবে উদ্ধৃতির দৈর্ঘ্য ২৫ শব্দের বেশি হলে তা মূল পাঠের নিচে বাম দিকে ১/৪ ইঞ্চি ভেতরে (indented) নতুন অনুচ্ছেদে উদ্ধৃতি সূত্রসহ উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করার দরকার নেই। উদাহরণস্বরূপ :
এই বিষয়ে সুশীলকুমার (বা.১৩৯৫) বলেন যে,
সূক্ষভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে, এই আপাত দ্ব›দ্ব ও বৈপরীত্য নজরুলের কবিমানসের মধ্যে একটি স্থির বিশ্বাসের আলোকে সমন্বয় লাভ করেছে। যে তত্তে¡র মধ্যে সমস্ত বৈলক্ষণ্য সংগতি ও ঐক্য পায়, তাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘Pantheism’। (পৃ. ১২৬)
প্রাথমিক উৎসের পাঠ (যেমন; রবীন্দ্র রচনাবলি, প্রভৃতি) থেকে একাধিক উদ্ধৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার থেকে লেখক-নামের মূল অংশ, খÐ (যদি থাকে), পৃষ্ঠা উল্লেখই যথেষ্ট।

খ. পাঠের অভ্যন্তরে প্রত্যক্ষ উদ্ধৃতির বাইরে উদ্ধৃতি-সূত্র প্রদানের ক্ষেত্রে নিচের রীতিসমূহ প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা যাবে: সুশীলকুমার (বা.১৩৯৫, পৃ.১২৬) [কেবল বঙ্গাব্দের ক্ষেত্রে ‘ব.’ ব্যবহৃত হবে।] (সুশীলকুমার, বা.১৩৯৫, পৃপৃ.১২৬-১২৭) [একাধিক পৃষ্ঠাব্যাপী তথ্যসূত্রের ক্ষেত্রে পৃপৃ. হবে।] (দ্রষ্টব্য; সুশীলকুমার, বা.১৩৯৫, পৃপৃ.১২৬-১২৭) [অতিরিক্ত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে] (তথ্যসূত্র; সুশীলকুমার, বা.১৩৯৫, পৃপৃ.১২৬-১২৭) [পরোক্ষ সূত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে]

গ. উদ্ধৃতি-সূত্র উল্লেখ করার ক্ষেত্রে বঙ্গ-ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে লেখকের পারিবারিক উপাধি নয়, বরং মূল নাম যথা : রবীন্দ্রনাথ, শহীদুল্লাহ ইত্যাদি প্রকাশকাল ও পৃষ্ঠা সংখ্যাসহ উল্লেখ করতে হবে। নামের শুরুতে মো, মুহম্মদ, আবদুল, বেগম প্রভৃতি থাকলে, পাঠের অভ্যন্তরে উদ্ধৃতি-সূত্রে এগুলো বাদ যাবে। [ উদাহরণস্বরূপ: সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ-এর ক্ষেত্রে উদ্ধৃতি-সূত্রে কেবল শাহেদ ব্যবহৃত হবে; অর্থাৎ, (শাহেদ, ২০১৮, পৃ.১০)]।

গ. প্রবন্ধকার নিজ চিন্তার সমর্থনের প্রয়োজনে যদি অন্য লেখকের উদ্ধৃতিকে নিজের ভাষায় বর্ণনা (paraphrasing) করেন, তবে, উদ্ধৃতি-সূত্রে পৃষ্ঠাসংখ্যা উল্লেখের দরকার নেই।

ঘ. পাঠ-অভ্যন্তরের ইংরেজি সাইটেশনের জন্য এপিএ-৭ রীতি অনুসৃত হবে।

৩. প্রবন্ধের মূল পাঠের শেষে একটি সহায়কপঞ্জি (references) প্রদান করতে হবে। এই সহায়কপঞ্জিতে কেবল মূল পাঠের উদ্ধৃতি-সূত্রে উল্লেখিত গ্রন্থ, পত্রিকা, ওয়েবসাইট প্রভৃতির তথ্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে বর্ণানুক্রমে (alphabetic order) বিন্যস্ত করতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি গ্রন্থের জন্য আলাদাভাবে সহায়কপঞ্জি রচনা করতে হবে, যেখানে প্রথমে বাংলা গ্রন্থাদি স্থান পাবে। ইংরেজি সহায়কপঞ্জি এপিএ-৭ অনুসারে হবে।

বই থেকে
দেলোয়ার হোসেন, আবু মো.। (২০১৮)। বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯০৫-১৯৭১)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনী, ঢাকা।
সুশীলকুমার গুপ্ত। (১৩৯৫)। নজরুল-চরিতমানস। বাংলা একাডেমি, ঢাকা।
সম্পাদিত বই থেকে
সিরাজুল ইসলাম সম্পা.। বাংলাপিডিয়া খÐ ১০। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা।
সম্পাদিত বই থেকে প্রবন্ধ
রফিক, আহমদ (২০১২)। ‘রবীন্দ্রনাথের গ্রামোন্নয়ন : ভাবনায় ও কর্মে’। সাধশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ [সম্পা. আনিসুজ্জামান], বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলিকাতা। পৃ. ৩৭-৪৬

গবেষণা পত্রিকা থেকে
শাহেদ, সৈয়দ মোহাম্মদ (২০১৮)। ‘চর্যাপদের ভাষা-বিতর্ক : একটি পর্যালোচনা’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা, সংখ্যা : ৯৭, পৃ. ৯-২৭
অন্যান্য
নাসিমা হক। (২০২২)। বাংলাদেশের ভাস্কর্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ। [পিএইচ ডি অভিসন্দর্ভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়], ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। (২০১৬)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট প্রেস, ঢাকা।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল। (২০২৩, এপ্রিল ২৩)। জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ২০২২-২৩ ৩য় কোয়ার্টার প্রতিবেদন।

http://www.bac.gov.bd/sites/default/files/files/bac.portal.gov.bd/files/42492078_b1bd_4388_9ad5_7427ec2f33ef/2023-04-06-07-17-082f9b0b39cc7cc3ab5cf042da07deb6.pdf

en_USEnglish